যে ১০টি কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি

যে ১০টি কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি সেই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানবো। চিয়াসিড এবং বিটরুট এ দুইটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমান সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখা, এটা যেনএকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই নিয়ম শৃঙ্খলিত জীবনে বিট রুট ও চিয়াসিডের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী এই চিয়া সিড এবং বিটরুট হওয়া প্রয়োজন।

যে-১০টি-কারণে-সকালে-খাবেন-চিয়াসিড-ও-বিটরুটের-পানি

আমরা চিয়াসিড ও  বিটরুটের নাম প্রায় অনেকেই জানি। তবে এই দুইটির খাওয়ার উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই জানি না। আজকের আমাদের এই ব্লগে আমরা এই চিয়াসিড ও  বিটরুটের খাবারের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সকালে চিয়া সিড ও বিটরুটের পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা।

পোস্ট সূচীপত্রঃ যে ১০টি কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও  বিটরুটের পানি

যে ১০টি কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও  বিটরুটের পানি

যে ১০টি কারণে সকালে খাবেন চিয়াসিড ও  বিটরুটের পানি খাব সেই সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে। আমরা সকালে কোন পানি খেয়ে দিনের শুরু করব সেটি আমাদের জানতে হবে। কারণ এই পানীয়টি আমাদের সারা দিনের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উন্নতি সাধন করবে। তাই সকালে বিটরুট ও চিয়াসিডের পানি পানীয় হিসেবে একসঙ্গে খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে।

আমাদের চিয়াসিড প্রাকৃতিক ফাইবার এবং ওমেগা-৩ টি এসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি খুব সহজেই আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়, ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং আমাদের ত্বক ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে। আমরা যদি সকালে খালি পেটে ভেজানোর সিট খায় তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পেট ভরা থাকে যার ফলে আমাদের অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা করে না। এভাবে আমাদের খাবারের প্রবণতা কমে যায় এবং সৈনিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন আমাদের শরীরে যোগায় শক্তি এবং আমাদের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে বিটরুট আমাদের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং আমাদের শরীরের লিভারকে ডিটক্স করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। বিটরুটে থাকা বিটালাইন ও আয়রন আমাদের ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে। বিটরুট থেকে যে পানি বের হয় সেই পানিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও ফলিক এসিড থাকে যা আমাদের রক্তশূন্যতার দূর করতে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

তাই চিয়াসিড ও  বিটরুট একসঙ্গে করে খেলে আমাদের শরীর ডিটক্স হয়, হজম শক্তি ভালো হয় এবং আমাদের শারীরিক শক্তি বাড়ে। এছাড়াও এই দুই পানীয় আমাদের ত্বক উজ্জ্বল রাখতে পেশী পুনর্গঠন করতে এবং আমাদের হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে বেশ সাহায্য করে। আমরা যদি সকালে এই পানীয় পান করি তাহলে আমাদের শরীরকে সারাদিন উপযুক্ত শক্তি ও পুষ্টি যোগায়। তবে কোন কিছু নিয়ম করে খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যদি কোন ধরনের শারীরিক অসুবিধা বা খাদ্য এলার্জি থাকে।

পরিশেষে বলা যায় যে, চিয়াসিড ও  বিটরুট আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য একটি চমৎকার স্বাস্থ্য সমাধানের সমন্বয়। প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণে ভরা এই দুই উপাদান আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত এটি গ্রহণ করলে আমাদের হৃদযন্ত্র, হজম শক্তি ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই আমাদের প্রতিদিনের সকালের এই পানীয় পান করা অত্যাধিক জরুরি। যার ফলে আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে এবং সক্রিয় রাখে। আমাদের একটি সুস্থ জীবন যাপনের জন্য এই নিয়মটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে চিয়াসিড ও  বিটরুট এর পানি সারা দিনের জন্য জীবনের আনন্দ।

চিয়াসিড ও  বিটরুট এর পুষ্টিগুণ

চিয়াসিড ও  বিটরুট এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে। আমাদের শরীরের জন্য আমরা যখন কোন খাবার বা পানিওকে সাজেস্ট করব তখন অবশ্যই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন আমরা দেখে নিই চিয়াসিড ও  বিটরুটের রসে কি কি পাওয়া যায়।

চিয়াসিডঃ সাধারণত চিয়াসিডকে পুষ্টিগুনে ভরা প্রাকৃতিক সুপার ফুড হিসেবে ধরা হয়। এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমায় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চিয়াসিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আসিড, ড প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন বিদ্যমান। সাধারণত প্রতি ২৮ গ্রাম বা ২টেবিল চামচ চিয়াসিডে ক্যালোরি ১৩৭, আমিষ (প্রোটিন) ৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১২ গ্রাম, ফ্যাট ৯ গ্রাম, আঁশ ১০ গ্রাম বিদ্যমান। চিয়াসিড ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি আসিডের সমৃদ্ধ উৎস যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

বিটরুটঃ বিটরুট একটি পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ সবজি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটিকে সবজি হিসেবেও খাওয়া যায় আবার পানীয় হিসেবেও খাওয়া যায়। এই এক কাপ বিটরুটের রসে সাধারণত ক্যালোরি ৫৮-৬০, কার্বোহাইড্রেট ১৩ গ্রাম, প্রাকৃতিক চিনি ৯-১০ গ্রাম, ফাইবার এক গ্রাম, প্রোটিন ২ গ্রাম, পটাশিয়াম ৪৪০-৪৫০ মিলিগ্রাম, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ১৫০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ০১ মিলিগ্রাম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ পরিমাণে বিটালায়েন্স থাকে যা ডিটক্সিফিকেশন এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিটরুটের রস আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়, রক্তচাপ কমায় এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই এটি একটি হিসাবে অত্যন্ত চমৎকার।

 চিয়াসিডের পানি ওজন নিয়ন্ত্রণ উপকারিতায় 

চিয়াসিডের পানি ওজন নিয়ন্ত্রণ উপকারিতায় এই বাক্যটি কতটুকু সত্য তা আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো।চিয়াসিড অত্যন্ত একটি জনপ্রিয় পানীয়। তবে এই পানীয়টি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কতটুকু সাহায্য করে চলুন দেখে নেয়া যাক। 

ভেজানো চিয়াসিডের পানি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সাধারণত 86 ডে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আমাদের হজম ধীর করে, এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পেটকে ভরে রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে আমাদের খোলা নিয়ন্ত্রণ হয় যার ফলে আমরা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকি। চিয়াসিডকে আমরা যদি পানিতে ভিজিয়ে খা তাহলে এটি জেলাটিনাস আকার ধারণ করে যা আমাদের পাকস্থলীতে প্রসারিত হয় এবং আরো বেশি তৃপ্তি দেয়।

 আরও পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ২০টি কার্যকরী উপায়

চিয়াসিডে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম হলেও এটি প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে, যা আমাদের শরীরের মেটাবইজম বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণত এই চিয়াসিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ড আমাদের শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে খুব বেশি উন্নত করে। তাছাড়াও এটি আমাদের রক্তের চুনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে ইনসুলিন স্পাইক কমায়। 

আর এই ইনসুলিন স্পাইক কমানোর জন্য আমাদের ওজন বৃদ্ধি হয় না, কারণ এটি ওজন বৃদ্ধির একটি কনতম কারণ। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া শেডের পানি পান করি তাহলে এতে আমাদের ডিটক্স প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং আমাদের চর্বি জমার হার অনেক কমে যায়। সঠিক ডায়েটের জন্য এই চিয়াসিড খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের ব্যায়াম করতে হবে যা ওজন কমাতে অত্যাধিক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

চিয়াসিডের পানি পাচনতন্ত্রের উন্নতি সাধন উপকারিতায় 

চিয়াসিডের পানি পাচনতন্ত্রের উন্নতি সাধন উপকারিতায় কিনা এই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো। চিয়াসিড আমাদের জীবনের খাদ্য জীবন চক্রকে হজম করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাবার হজম করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তাহলে চলুন আমরা দেখে নেই চিয়াসিড কিভাবে আমাদের পাচনতন্ত্রের উন্নতি সাধন করে।

যে-১০টি-কারণে-সকালে-খাবেন-চিয়াসিড-ও-বিটরুটের-পানি

চিয়াসিডের পানি আমাদের পাচনতন্ত্রের জন্য এতটাই উপকারী যা বলে বোঝানো যাবে না। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আমরা যদি চিয়াসিডকে রাতে ভিজিয়ে রাখি তারপর সেই ভেজানো চিয়াসীড একটি জেলির আকার ধারণ করে। যা আমাদের অন্তরে সহজেই চলাচল করতে পারে এবং আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এতে আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা হয়।

ফাইবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে যা আমাদের স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবায়ম গঠনে সাহায্য করে। এই মাইক্রোবায়ন শুধু যে আমাদের হজম প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে তা কিন্তু নয় বরং এটি আমাদের শরীরের যে কোন প্রদাহমায় এবং পুষ্টি শোষণ কার্যকর করে। ভেজানো চিয়া সিডের পানি আমাদের পাচনতন্ত্রকে হাইড্রেট রাখে, যা অন্ত্রের মল নরম করতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের দ্রুত হজমজনিত অসুবিধা যেমন গ্যাস, পেটের ফোলা ভাব এবং পেটের ব্যাথা কমে যায়।

এগুলোর পাশাপাশি আবার এটি আমাদের লিভার থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে হজম প্রক্রিয়াকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চিয়াসিডের পানি পান করতে পারলে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে হজম সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে। এইজন্য আমাদের যারা পেটের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে এই চিয়াসিডের ভেজানো পানি সকালে চিয়াসিডসহ খেতে হবে।

 চিয়াসিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার উপকারিতায় 

চিয়াসিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার উপকারিতায় সেই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানব। আমরা জানি যে আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড মুক্ত রাখার জন্য চিয়াসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক চিয়াসিডের পানি কিভাবে আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।

চিয়াসিডের পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন ন করে। এই চিয়াসিডের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি নীলের ওজনের প্রায় ১০-১২ গুণ পানি শোষণ করতে ক্ষমতা রাখে। আমরা যখন চিয়াসিডকে পানিতে ভিজিয়ে রাখি তখন এটি একটি জেলির মত স্তর তৈরি করে যা আমাদের শরীরের ধীরে ধীরে পানি মুক্ত করে।

এই ধীর প্রক্রিয়ার মুক্তির পানি আমাদের শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন আমাদের অতিরিক্ত ঘাম হয় বা আমাদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি করার ফলে পানি হারায়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই চিয়াসিড শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে আমাদের পানি শূন্যতার সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

 আরও পড়ুনঃ কালোজিরা ফুলের মধুর ২০টি কার্যকরী উপকারিতা

এছাড়াও এটি আমাদের অন্তরের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে পানি শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করে। আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ঐতিহাসিকের পানি পান করি তাহলে আমাদের ত্বক ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমের দিনে বা গরম আবহাওয়ায় অথবা ব্যায়ামের পর একটি দ্রুত হাইড্রেশন পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। সঠিকভাবে যদি আমাদের শরীর হাইডেটেড হয় তাহলে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য হবে।

 চিয়াসিডের পানি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ উপকারিতায় 

চিয়াসিডের পানি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ উপকারিতায় কিভাবে তার ভূমিকা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। চিয়াসিডের পানিতে অতি উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা খাবারের হজম প্রক্রিয়াকে বের করে ফেলে। যার ফলে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে। এরে ইনসুলিন স্পাইক কম হয় এবং আমাদের রক্তে শর্করার স্তর স্থিতিশীল থাকে।

সাধারণত চিয়াসিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমাদের শরীরের ইনসুলিন সম্বোধনশীলতা বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। যার ফলে আদর্শ শরীরে খুব সহজেই গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও চিয়াসিডের পানি লো গ্লাইসিলিক ইন্ডেক্স সম্পূর্ণ হওয়ায় উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের প্রভাব কমিয়ে দেয়। 

চিয়াসিড আমরা যদি প্রতিদিন নিয়মিত পান করি তাহলে আমাদের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়। বিশেষ করে আমরা যদি সকালে খালি পেটে ছিয়াশিডের পানি পান করি তাহলে এটি দীর্ঘক্ষণ আমাদের রক্তে চীনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং ক্ষুধাও কমিয়ে দেয়। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক সহায়ক উপাদান হিসেবে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

চিয়াসিডের পানি হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত উপকারিতায় 

চিয়াসিডের পানি হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত উপকারিতায় যার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পানীয় আমাদের শরীরের জন্য। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ড যা আমাদের রক্তনালিতে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে খুব সহজেই আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়।

চিয়াসিডের পানি সাধারণত এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় যা ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আমাদের হৃদ যন্ত্র কে সুরক্ষিত রাখে। এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে কারণ এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম যা আমাদের ধমনীর নমনীয়তাকে বজায় রাখে এবং আমাদের রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া চিয়াসিডে থাকা উচ্চ ফাইবার যা আমাদের রক্তে অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিস জনিত হৃদরোগে প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আমরা যদি নিয়মিত ৮৬দের পানি পান করি তাহলে আমাদের রক্ত প্রদাহ কমে যায় যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে। আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে বাড়াতে 86 ভেজানো পানি পান করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই সুষম খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের পাশাপাশি আমাদের চিয়াসিডের পানিওটি গ্রহণ করা আরো কার্যকর হয়ে উঠবে।

বিটরুটের পানি রক্তচাপ কমানোর উপকারিতায় 

বিটরুটের পানি রক্তচাপ কমানোর উপকারিতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকে আমরা জানবো সকাল বেলা খালি পেটে বিটরুটের পানি কিভাবে আমাদের শরীরে উপকারে আসে। বিটরুটের পানি আমাদের রক্তচাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে আমরা যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে তাদের জন্য এই বিদ্যুতের পানি অত্যাধিক গুরুত্ব। বিটরুটে থাকা নাইট্রেট নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের রক্তনালী প্রসারিত করে এবং তাদের নমনীয়তা বাড়ায়। যার ফলে আমাদের রক্ত প্রবাহ খুব সহজ হয় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যদি প্রতিদিন বিটরুটের রস পান করি তাহলে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এটি বিশেষ করে সিস্টোলিক (উপরের সংখ্যা) রক্তচাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই আমরা যদি নিয়মিত বিদ্যুতের পানি পান করি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকখানি কমে যায়। এইজন্য অবশ্যই আমরা প্রতিদিন বিটরুটের পানি খাওয়ার অভ্যাস করব।

এছাড়াও, বিটরুটে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকখানি থাকায় আমাদের শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম (লবণ) বের করে দেয় এবং আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা লাইন আমাদের ধমনীতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সহায়তা হয়।

তবে অবশ্যই আমরা যদি অতিরিক্ত বেডরুটের পানি পান করি তাহলে আমাদের রক্তচাপ অত্যাধিক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে বিদ্যুতের পানি গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসের পাশাপাশি আমাদের ব্যায়াম করতে হবে সেই সাথে এই বিদ্রোতের রস সেবন করলে আমাদের হার্টের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 বিটরুটের পানি রক্তশক্তি বৃদ্ধি করার উপকারিতা 

বিটরুটের পানি রক্তশক্তি বৃদ্ধি করার উপকারিতায় থাকে, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে আয়রন, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি পানীয়। হিমোগ্লোবিন তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে এই আয়রন যা আমাদের রক্তের লোহিত কণিকা (RBC) বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরের অক্সিজেনের সরবরাহের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমাদের রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে একটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিদ্যুতের মধ্যে বিদ্যমান ফোলেট আমাদের নতুন লোহিত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে যা আমাদের রক্তের গুণগত মান উন্নত করে। এটি বিশেষ করে আমাদের গর্ভবতী নারী ও যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বেশ উপকারী একটি পানীয়। বিটরুটের এই পানীয়তে বিটালাইন্স ও নাইট্রেট থাকে যা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, এই বিটরুটে থাকা ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়ায় যা আমাদের শরীরে আয়রনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমরা যদি নিয়মিত বিট রুটের পানি পান করি তাহলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং আমাদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তবে অবশ্যই আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এই পানীয় গ্রহণ করি তাহলে বিটুরিয়া (প্রসাবে লালচে রং) হতে পারে যা ক্ষতিকর নয়। তাই আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে আমরা এক গ্লাস বিট রুটের পানি পান করব যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী।

বিটরুটের পানি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করার উপকারিতায় 

পানি শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করার উপকারিতায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে আমরা যারা শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করি। বিটরুটে থাকা নাইট্রেট আমাদের শরীরে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়, যা আমাদের রক্তনালীকে প্রসারিত করে এবং আমাদের পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শরীর বেশি কার্যক্ষম হয় এবং ক্লান্তি দেরিতে অনুভূত হয়।

যে-১০টি-কারণে-সকালে-খাবেন-চিয়াসিড-ও-বিটরুটের-পানি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে আমরা যদি ব্যায়ামে আগে বিদ্যুতের পানি পান করি তাহলে সহনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কর্ম ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি সাধারণত অ্যাথলেট, জিমে ব্যায়ামকারি ও শারীরিক পরিশ্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য খুবই বিশেষভাবে উপকারী একটি পানীয়। বিটরুটে থাকা আইরন আমাদের লোহিত রক্তকণিকাকে বাড়িয়ে শরীরে প্রতিটি কোষে বেশি অক্সিজেন সরবরাহের নিশ্চিত করে যা আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত বিট রুটের পানি পান করি তাহলে আমাদের স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং আমাদের মাংসপেশীর কার্যকারিতা বেশ উন্নত হয়। আমরা যদি সকালের না তার সময় বা ব্যায়ামের আগে এটি পান করি তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের কর্মশক্তি আমাদের কর্মশক্তি বজায় থাকে। এইজন্য আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমরা প্রতিদিন সকালে অথবা বিকালে এক গ্লাস বিট রুটের রস খাবো।

বিটরুটের পানি ডিটক্সিফিকেশনে উপকারিতায় 

বিটরুটের পানি ডিটক্সিফিকেশনে উপকারিতায় যা আমরা জানার জন্য আজকের এই ব্লক পোস্ট। আজকে আমরা জানব কিভাবে বিটরুটের পানি আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। আসলে বিটরুটের পানি প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে আমাদের লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে বেশ সাহায্য করে, যার ফলে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। বিটালাইনস এন্টি অক্সিডেন্ট যা বিটরুটে থাকে, এটি আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বের করতে সাহায্য করে।

বিটরুটের পানি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে এবং এই রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয় যার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে। এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। বিদ্যুতের পানি আমাদের শরীরকে বিভিন্নভাবে সতেজ রাখার জন্য সাহায্য করে।

এছাড়াও এই বিদ্যুটের পানি আমাদের শরীরের কিডনির কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে বেশ উন্নত করে এবং আমাদের অন্ত্র। পরিষ্কার রাখতে বিশেষ সাহায্য করে যার ফলে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম জনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকি। নিয়মিত আমরা যদি বিট রুটের পানি পান করি তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়, শরীরের শক্তি বাড়ে এবং আমাদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আমরা যখন সকালে খালি পেটে এটি পান করি তখন এটি আমাদের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া আরো কার্যকর করে তোলে এবং আমাদের শরীরকে সতেজ অনুভব করায়।

বিটরুটের পানি ত্বকের উন্নতির উপকারিতা

বিটরুটের পানি ত্বকের উন্নতির উপকারিতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিটরুটের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং বিটালাইন্স। এই সমস্ত উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের লখন দূর করতে সাহায্য করে।

বিটরুটের পানির অন্যতম প্রধান উপকারিতা হলো এটি রক্ত পরিশোধন করে, যা আমাদের ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে। কারণ ভালোভাবে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে যার ফলে ব্রণ, ফুসকুড়ি ও কালো দাগ কমে যায়। এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, বজায় রাখতে সাহায্য করে আমাদের ত্বককে টানটান ও তারুণ্যদীপ্ত রাখে। বিটরুটের বিটালাইনস ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং রোদে পোড়া দাগ ও হাইপার পিগমেন্টেশন কমাতে ভীষণ সাহায্য করে।

বিটরুটের পানি আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে যার ফলে আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। আমরা যদি নিয়মিত এই পানীয়টি পান করি তাহলে আমাদের ত্বকের শুষ্কতা কমে যায়, মসৃণতা বেড়ে যায় এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল দেখায়। আমরা যদি ভাল ফল পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বাড়াতে বিদ্যুতের পানি পান করতে হবে। আবার বিট রুটের রস বের করার পর যে আজ থাকে সেটি আমরা যদি আটার সাথে মিশিয়ে রুটি বানিয়ে খাই তাহলে সেটিও আমাদের ত্বকের উপকারী হয়ে ওঠে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই খাবারটি খুবই ভালো।

চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি সকালে কি একসাথে খাওয়া যায়?

চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি সকালে কি একসাথে খাওয়া যায় এই প্রশ্নটির উত্তর প্রায় অনেকেই জানতে চায়। আজকে আমরা জানবো সকালে খালি পেটে চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি একসাথে খাওয়া যায় কিনা। চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি একসাথে সকালে খাওয়া যায় এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অত্যাধিক ভরপুর একটি পানীয়। উপাদানে আমাদের শরীরকে শক্তি প্রদান করে, আমাদের হজম শক্তিকে উন্নত করে এবং আমাদের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

চিয়াসিড উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ, যা আমাদের হজম শক্তি ভিড় করে এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে আমাদের পেট ভরে রাখে। যার ফলে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আমাদের ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে। অন্যদিকে পানি আয়রন ও নাইট্রেট সমৃদ্ধ হওয়ায় আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

সকালে আমরা যদি খালি পেটে এই মিশ্রণ পান করি তাহলে আমাদের লিভারে ডিটক্সিফিকেশন ভালো হবে এবং আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাবে।। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষার জন্য এই পানীয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই পানিওটি তৈরি করার খুবই সহজ। বিটরুট ব্লেন্ডারে রস বের করে নিয়ে এক গ্লাস বিটরুট রস নিতে হবে। এই পানীয়র সাথে এক টেবিল চামচ চিয়াসিড ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনি যদি মনে করেন এতে কয়েক ফোটা লেবুর রস মেশাবেন সেটিও মিশাতে পারেন। তারপর সবগুলো একসাথে মিশিয়ে এই পানিরই নিয়মিত খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, আমাদের হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হতে পারে। তবে যাদের রক্তচাপ খুব কম থাকে তারা অবশ্যই এই পানীয়টি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

মন্তব্যঃ যে ১০টি কারণে সকালে চিয়াসিড ও বিট রুটের পানি

যে ১০টি কারণে সকালে চিয়াসিড ও বিট রুটের পানি পান করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপরে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। আশা রাখি উপরের বর্ণিত তথ্যগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। সকালে চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য এক অনন্য অভ্যাস। সাধারণত এটি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ ও সতেজ রাখে, শক্তি বাড়ায়, রক্ত পরিষ্কার করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে। চিয়াসিডের ফাইবার ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ রাখে আর বিটরুটের আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি আমাদের জন্য এক অনবদ্যপানীয়।

প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক এই পানীয় আপনাকে সতেজ, সক্রিয় ও উদদামি রাখবে। আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস চিয়াসিড ও বিটরুটের পানি পান করা অত্যাধিক জরুরী। আশা আমাদের এই বিস্তারিত চিয়াসিড ও বিটরুটের সকল তথ্য ও বিশ্লেষণ আপনাদের প্রাত্যহিক জীবনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এখানেই বিদায় আবারও দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে বা পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্ন ২৪ ব্লক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url